⁉️Question 46⁉️
♦️আমি একজন গৃহিণী। বাচ্চারা খুব ছোট ছোট। বাসায় প্রায় সব কিছু একা করতে হয় । আমি একটা সাবজেক্টে ( জেনারেল লাইনের) অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করছি। আর একটা তাফসীর কোর্সে এনরোলড আছি। যেখানে প্রায় প্রতিটি শব্দের অর্থ মুখস্থ এবং বুঝতে হয় , ব্যাখ্যা পড়তে হয়। পরীক্ষা থাকে। অর্থাৎ সব কিছু মিলিয়ে খুব ব্যস্ত থাকতে হয়। আমার খুব ইচ্ছা কুরআন হিফজ করার। কিন্তু কার কাছে পড়া দিব, কিভাবে প্লান করব বুঝে উঠতে পারছি না। আমি ১ম পারার কিছু অংশ মুখস্থ করেছি । কিন্তু ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারছি না। আমাকে যদি কিছু গাইড লাইন দিতেন। জাযাকিল্লাহ খয়রন।
✨উত্তরঃ✨
ছোট বাচ্চা থাকলে আমি কখনোই কুরআন মুখস্থ করতে বা অনেক পড়াশোনা করতে পরামর্শ দিইনা। এই সময়টা নিজের বাচ্চাকে এবং নিজেকে অনেক কেয়ারের সাথে হ্যাণ্ডেল করার সময় এবং উপভোগ করার সময়ও বটে। এই বাচ্চাগুলোকে আল্লাহ তা'আলা দিয়েছেন, তাদের ছোটবেলাটা উপভোগ করাটাও একটা জরুরি বিষয়।
এজন্য আপনার জন্য পরামর্শ হলো আপনার লোড কমিয়ে আনুন। একবারে পড়বেন না তা নয়। দ্বীনি পড়াশোনা অবশ্যই করতে হবে। দ্বীনি পড়াশোনা ছাড়া একজন মু'মিন কখনোই থাকতে পারেনা। কিন্তু সেটা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। একইসাথে সবকিছু হবেনা।
আপনার বাচ্চার তারবিয়্যাহরও প্রয়োজন আছে। আপনাকে আপনার বাচ্চারা টাইম টু টাইম ভালো এক্সামপল হিসেবে পাবে, আপনার থেকে তারা শিখবে। ওরা ছোট বলে যে কিছুই শিখছে না তা কিন্তু না। আপনি ওদের সামনে এখনো এক্সামপল এবং ভবিষ্যতেও এক্সামপল ইনশাআল্লাহ।
সেই জন্য আপনার জন্য প্রথম পরামর্শ হলো সবকিছু একসাথে না করে যেটার গুরুত্ব বেশি আগে সেটা করুন। হয়ত এমন হতে পারে যে কোন কোর্স আর কিছুদিন করলেই শেষ হয়ে যাবে সেটার গুরুত্ব বেশি। অথবা আপনার হিফজের স্পিড ভালো থাকলে সব বাদ দিয়ে আগে হিফজ করতে পারেন। অথবা দ্বীনের বেসিক আরও একটু শেখার দরকার হলে সেটা আগে শিখতে পারেন। মোটকথা যেটার গুরুত্ব বেশি আগে সেটা করবেন, তবে একটা একটা করে। তাহলে ভালো ফল পাবেন ইনশাআল্লাহ।
~ উস্তাযা নায়লা নুযহাতের হিফজ কাউন্সেলিং গ্রুপের অডিও প্রশ্নোত্তর থেকে
♦️আমি একজন গৃহিণী। বাচ্চারা খুব ছোট ছোট। বাসায় প্রায় সব কিছু একা করতে হয় । আমি একটা সাবজেক্টে ( জেনারেল লাইনের) অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করছি। আর একটা তাফসীর কোর্সে এনরোলড আছি। যেখানে প্রায় প্রতিটি শব্দের অর্থ মুখস্থ এবং বুঝতে হয় , ব্যাখ্যা পড়তে হয়। পরীক্ষা থাকে। অর্থাৎ সব কিছু মিলিয়ে খুব ব্যস্ত থাকতে হয়। আমার খুব ইচ্ছা কুরআন হিফজ করার। কিন্তু কার কাছে পড়া দিব, কিভাবে প্লান করব বুঝে উঠতে পারছি না। আমি ১ম পারার কিছু অংশ মুখস্থ করেছি । কিন্তু ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারছি না। আমাকে যদি কিছু গাইড লাইন দিতেন। জাযাকিল্লাহ খয়রন।
✨উত্তরঃ✨
ছোট বাচ্চা থাকলে আমি কখনোই কুরআন মুখস্থ করতে বা অনেক পড়াশোনা করতে পরামর্শ দিইনা। এই সময়টা নিজের বাচ্চাকে এবং নিজেকে অনেক কেয়ারের সাথে হ্যাণ্ডেল করার সময় এবং উপভোগ করার সময়ও বটে। এই বাচ্চাগুলোকে আল্লাহ তা'আলা দিয়েছেন, তাদের ছোটবেলাটা উপভোগ করাটাও একটা জরুরি বিষয়।
এজন্য আপনার জন্য পরামর্শ হলো আপনার লোড কমিয়ে আনুন। একবারে পড়বেন না তা নয়। দ্বীনি পড়াশোনা অবশ্যই করতে হবে। দ্বীনি পড়াশোনা ছাড়া একজন মু'মিন কখনোই থাকতে পারেনা। কিন্তু সেটা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। একইসাথে সবকিছু হবেনা।
আপনার বাচ্চার তারবিয়্যাহরও প্রয়োজন আছে। আপনাকে আপনার বাচ্চারা টাইম টু টাইম ভালো এক্সামপল হিসেবে পাবে, আপনার থেকে তারা শিখবে। ওরা ছোট বলে যে কিছুই শিখছে না তা কিন্তু না। আপনি ওদের সামনে এখনো এক্সামপল এবং ভবিষ্যতেও এক্সামপল ইনশাআল্লাহ।
সেই জন্য আপনার জন্য প্রথম পরামর্শ হলো সবকিছু একসাথে না করে যেটার গুরুত্ব বেশি আগে সেটা করুন। হয়ত এমন হতে পারে যে কোন কোর্স আর কিছুদিন করলেই শেষ হয়ে যাবে সেটার গুরুত্ব বেশি। অথবা আপনার হিফজের স্পিড ভালো থাকলে সব বাদ দিয়ে আগে হিফজ করতে পারেন। অথবা দ্বীনের বেসিক আরও একটু শেখার দরকার হলে সেটা আগে শিখতে পারেন। মোটকথা যেটার গুরুত্ব বেশি আগে সেটা করবেন, তবে একটা একটা করে। তাহলে ভালো ফল পাবেন ইনশাআল্লাহ।
~ উস্তাযা নায়লা নুযহাতের হিফজ কাউন্সেলিং গ্রুপের অডিও প্রশ্নোত্তর থেকে