একটি নতুন বিষয় নিয়ে গবেষণা (ইসলামোফোবিয়ার প্রভাব) শুরু করেছি। নতুন বিষয়ে অভ্যস্ত হতে গিয়ে অনেক পড়াশোনা করতে হচ্ছে। এতদিন দেশের অবহেলিত জনস্বাস্থ্য বিষয়ক (থ্যালাসেমিয়া, ডেঙ্গু, ওবেসিটি ইত্যাদি) নিয়ে অনেক পরিশ্রম করেছি। ভালো জার্নালে বেশ কয়েকটি উচ্চমানের গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। যদিও থ্যালাসেমিয়া ইস্যু ছাড়া অন্যান্য কাজ আমার ব্যক্তিগত রিসার্চ প্রোফাইল উন্নত করেছে, তবে সমাজে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি।
বয়স প্রায় ৫০ বছর হয়ে গেছে। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় কাছাকাছি চলে এসেছে, যদিও যে কেউ যেকোনো সময় ইন্তেকাল করতে পারেন। মৃত্যুর আগে এমন কিছু কাজ করে যেতে চাই যা সমাজে সহজেই দৃশ্যমান প্রভাব ফেলবে।
দুই সপ্তাহের মধ্যে সিয়ান পাবলিকেশন থেকে এ যুগের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে লেখা ৫৫০ পৃষ্ঠার সেই বই প্রকাশিত হবে, ইনশাআল্লাহ। এটি আমার তৃতীয় বই হতে যাচ্ছে। এছাড়া ২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান নিয়ে আরেকটি ঐতিহাসিক ডকুমেন্টেশনের বই নিয়ে কাজ করছি, যা ২০২৫ সালের বইমেলায় প্রকাশিত হওয়ার আশা রাখি, ইনশাআল্লাহ।
৯০%+ মুসলিম অধ্যুষিত দেশে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ-তরুণী ইসলামোফোবিয়ার শিকার হয়েছেন, এমনকি কেউ কেউ চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্যের মুখোমুখি হয়েছেন। এ বিষয়ে ১৬৫০ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও তরুণ পেশাজীবীর (যারা বাহ্যিকভাবে ইসলাম ধর্ম পালন করেন) উপর গবেষণা করে ডেটা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করেছি।
ফাইন্ডিংস দেখে নিজেই বিস্মিত হয়েছি। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর কথা, সেখানে আমাদের গবেষণায় উঠে এসেছে যে তারাই সবচেয়ে বেশি ইসলামোফোবিক।
প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এন্টি-ইসলামোফোবিয়ার নীতিমালা তৈরির জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলাই এই গবেষণার মূল অনুপ্রেরণা।
#Islamophobia