Sorowar's talks

গুরুত্বপূর্ণ- আমার ওয়েবসাইটে ট্রান্সজেন্ডারিজম নিয়ে তথ্য আর্কাইভ করা হচ্ছে।

স্বাভাবিক ট্রেন্ড অনুযায়ী আমাকে কোনঠাসা করে মানসিকভাবে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই এ যুগের সবচেয়ে ক্রিটিক্যাল বিষয়টা সম্পর্কে সম্যক ধারণা পেতে আমার #ওয়েবসাইটে (www.mshossain.com) তথ্য একত্রিত করছি। এখন পর্যন্ত যত তথ্য ( ৩টি আর্টিকেল, ৪টি ভিডিও এবং প্যারেন্টিং বই) আর্কাইভ করা হয়েছে তাতে বেশ ভাল ধারনা পেয়ে যাবেন।

ওয়েবসাইটে এখন আমার লিখিত ৩টি আর্টিকেল, ৪টি ভিডিও (এর মধ্যে দেশের দুজন মুফতির সহজবোধ্য বক্তব্ এবং আমার প্যারেন্টিং বই এর লিংক আর্কাইভ করা হয়েছে। এতে বিষয়টি বেশ ভাল ধারনা পেয়ে যাবেন, ইনশাল্লাহ।

আর্কাইভ লিংক- https://mshossain.com/category/lgbt/

Mohammad Sorowar Hossain (FB ID)

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানিয়ে রাখছি- আপনারা স্বাক্ষী

দেশে আমার জবে হুমকি তৈরী করতে পরিকল্পামাফিক আমেরিকা  প্রবাসী একটি মাইক্রোবায়োলজি গ্রুপসহ অনেকে পিছনে লেগেছে। টিপিক্যাল মিথ্যা/স্মেয়ার ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে।  

গতবছর জুলাইতে এই গ্রুপ আমার অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে (যেখানে অনারারী এসোশিয়েট প্রফেসর) অনেকে ইমেল করে অভিযোগ করেছে, জাস্ট একটা সিম্পল পোষ্ট দেয়ার জন্য। সেই দা-জ্জালী ইস্যুটি (কা-ও-মে লু-ত)  এমন পর্যায়ে পৌছে  সরাসরি ফেসবুকও ফিল্টার করে। তাই সেই শব্দগুলো উচ্চারণ করলাম। 

এক জার্নালে পেপার জমা দেয়া ছিল। কিন্তু সেখানে আমাকে এক্সেস দিচ্ছিল না কেননা আমাকে ইচ্ছা-স্বাধীন নারী-পুরুষ হওয়ার ব্যাপারটি নিয়ে একটি জরীপে বাধ্যতামূলকভাবে অংশ নিতে হবে। এর প্রতিবাদে সাধারন একটি স্টাটাস দেয়ার কারনে ওরা দল মাঠে নামে।

শুধু তাই নয়, অস্ট্রেলিয়ার সেই এলাকার সাংবাদিকদের সাথেও যোগাযোগ করে যাতে আমার এফিলিয়েশন কেড়ে নেয়া হয়।

এই বিষয়ে ইউনিভার্সিটির সাথে জরুরী মিটিং হয়। কিন্তু তারা আমার প্রশ্নের জবাব দিতে পারেনি। তাদের অত্যাচারে তারাও বিরক্ত, কিন্তু মুখে বলতে পারেন না। তাদের পরামর্শ মত আমি ফেসবুক থেকে প্রাতিষ্ঠানিক এফিলিয়েশন উঠিয়ে দিয়েছি। অর্থাৎ আমার বক্তব্য কোন প্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিধত্ব করে না।
.
সেই চক্রটি  আমার দেশের প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করে মিথ্যা রটাবে। যাতে তারা বিরক্ত হয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেন এমন অবস্থা তৈরী  করতে চেষ্টা করবে।

বলা দরকার যে-
.
আমার দেশের টিপিক্যাল ফ্যাকাল্টি পজিশন হোল্ড করি না। স্ব-প্রনোদিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কাজ করেছি। যদিও শুনতে অন্যরকম লাগবে যে আমার একাডেমিক  এচিভমেন্ট অনেক ভাল বলা যায়।  প্রতিষ্ঠানে এবং বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে  ইয়াং রিসার্চার তৈরীতে কাজ করছি। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পজিটিভ ব্র্যান্ডিং হয়।
.

আমার লেখালেখি-এক্টিভিজমের কারনে অনেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। এর কিছু এডমিশন ডিপার্টমেন্টের লোকরাও জানেন।  অর্থাৎ আমার একার প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছে।
.
আমাদের সন্তান, শিক্ষার্থী, এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের মারাত্নক সামাজিক অবক্ষয়ের সম্মুখীন হতে যাচ্ছে জেনে সচেতনতা তৈরীর চেষ্টা করছি।
.
Sorowar

গুরুত্বপূর্ণ - জানিয়ে রাখা প্রয়োজন

সেই আমেরিকা প্রবাসী মাইক্রোবায়োলজি গ্রুপের কিছু লোক আবার পিছনে লেগেছে। 😁 কোভিডের সময় এরা #বংগভ্যাক্স টিকার পক্ষে কান্নাকাটি করেছেন। এখন তারা স*ম/-কা-মিতা মতাদর্শকে সাপোর্ট করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার শুরু করেছে।

রীতিমত প্রচ্ছন্ন গ্রেফতার করার থ্রেট দিয়েছেন! ওর দাবী হচ্ছে আমি ডিপার্টমেন্টের বড় ভাই। ও সব জানে আমার সম্পর্কে! কিন্তু আমি ওকে চিনিই না। (লিংক কমেন্টে)

সবচেয়ে বিস্মিত এবং কষ্ট পেয়েছি যখন দেখি কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়র শ্রদ্ধেয় প্রফেসর বড় ভাই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা পোষ্টে পরোক্ষ্যভাবে সমর্থ করেছেন, বলে দিলেন আমি নাকি hate প্রচার করছি!! উনার সাথে হজ্জেও দেখা হয়েছিল ২০১৫ সালে।

নর্থ আমেরিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি হলেই জ্ঞানী হয় না। এই সমাজ বিধংসী মতবাদ কিন্তু প্রফেসররাই প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

হেট স্পিচ ট্যাগ দিয়ে এরা Harry Potter এর লেখিকা JK Rowling কে একঘরে ফেলেছে কেননা তিনি বলেছিলেন মেয়েদেরই শুধু মাসিক হয় (menstruation) হয়, ছেলেদের হয় না।

অন্যদিকে বিবর্তনবাদী অক্সফোর্ড প্রফেসর রিসার্চ ডকিন্স বলেছিলেন যে মানুষে শুধু নারী ও পুরুষ হয়, অর্থাৎ বাইনারি। একারনে তাকে বিদ্বেষী ট্যাগ দিয়ে ২৫ বছর আগের এওয়ার্ড ফিরিয়ে নিয়েছে আমেরিকান হিউমিনিস্ট সংস্থা!

বাংলাদেশে বড় হওয়া উচ্চশিক্ষিত মানুষের মাথাও গেছে। তারা ফেইক নারীকে ছেলেদের হোস্টেলে সিট দিতে, পুরুষকে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় মুকট দেয়াকে সন্মান প্রতিষ্ঠার সাথে লিংক করে ফেলেছে!

আল্লাহ, ডিপার্টমেন্ট জুনিয়র এবং সিনিয়র ভাই-বোনকে হিদায়ত দান করুন, তাদের নরমাল মস্তিষ্ক জাগ্রত হউক সেই কামনা করি।

#sorowar_disclaimer, #এ_যুগের_চ্যালেঞ্জ

বিস্ময়কর হলেও সত্য যে সম্প্রতি 'কালবেলা' পত্রিকায় আমার প্রকাশিত আর্টিকেলটি (মনের ইচ্ছা-স্বাধীন নারী-পুরুষ হওয়া) মূলধারার পত্রিকার #প্রথম বিপরীত ধর্মী আর্টিকেল!

অন্যদিকে কাওমে লু-ত মতাদর্শকে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে গত ১৫ বছর ধরে দেশের মূলধারার মিডিয়া শত শত , প্রতিবেদন, সিরিজ অব ফলো-আপ প্রতিবেদন তৈরী করেছে।

প্রসংগত, শুধুমাত্র একজন ফেইক নারীকে সংসদের এমপি বানানোর এজেন্ডা নিয়ে বড় বড় মিডিয়া হাউজ গত প্রায় ৩ বছরে তাকে নিয়ে ৫০+ প্রতিবেদন (আর্টিকেল/ভিডিও) প্রকাশ করেছে।

অনলাইনে লক্ষ লক্ষ কন্টেন্ট তৈরী করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক বেশকিছু জার্নাল আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে যেখানে এমন #শব্দ_জাদু রয়েছে যা এই ফিল্ডের ছাড়া অন্যরা পিএইচডিধারী হলেও বুঝতে পারবে না। অনেক সেমিনার, গোল টেবিল বৈঠক হয়েছে।

এই অবস্থা্য দেশের পলিসি আলোচনায় তাদের জিতে যাওয়াই স্বাভাবিক।

নিশ্চিত করে বলতে পারি- যারা পলিসিমেকার তারা এই বিষয়ে তেমন ধারনা রাখেন না। তারা মূলত কিছু ব্যক্তিবর্গের সাথে আলোচনা করে যা শুনেন তা-ই বিশ্বাস করেন।

মনে রাখতে দেশে ৯০%+ মুসলিম। ধর্ম-কর্ম পালন না করলেও অন্তরে, আবেগে ইসলামকে ভালবাসেন, অন্তত মুসলিম হিসেবে পরিচয় দেন। অন্যান্য ধর্মের মানুষরা এই পরিবার বিধংসী মতাদর্শ সমর্থন করেন না।

তারা ২০০+ বছরে ধরে এজেন্ডা ঠিক করে সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। আর আমরা ঘুমিয়ে আছি। বাংলাদেশের ইসলামিক স্কলার, একাডেমিশিয়ানরা বর্তমান বিশ্ব থেকে সম্ভবত ৫০ বছর পিছিয়ে আছেন।

আপনার সন্তান এবং বংশধরা নষ্টামীর খাদের কিনারায় অবস্থান করছে।

আর কত ঘুমাবেন?

#এ_যুগের_চ্যালেঞ্জ

ওদের একটি স্ট্র্যাটেজি ফাঁস করে দেই।

ইদানিং সুন্দরী প্রতিযোগিতার নামে পুরুষদের মুকুট দিচ্ছে যাতে মানুষজন আলোচনা করে। ওরা পরোক্ষ্যভাবে দেশ টেকওভার করার পায়তারা করছে।

বিশ্ব এজেন্ডার ছাপ দেশের সব সেক্টরে ইতিমধ্যে ঢুকে গেছে।

হুজুর ,হিজাব পরিহিতা নারীরাও তাদের কাজকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে।

সমস্যা হচ্ছে আপনারা তাদের ভাষা পড়তে পারছেন না।

আপনাদের বুঝানোর জন্য পুরুষকে মেয়েদের হোস্টেলে সিট দিচ্ছে, ঘন ঘন সুন্দরী প্রতিযোগিতা হবে। পাঠ্যপুস্তকে শরীফ-শরিফার গল্প দিয়ে ডি-সেনসিটাইজ করেছে...

সামনে নাটক, সিনেমা, বিজ্ঞপ্তি, ক্রিকেট খেলার মাঝের বিরতিতে ওরা সরাসরি হানা দিবে...

আপনারা ঘুমিয়ে থাকলে তারা তো সুযোগ নিবেই...

#এ_যুগের_চ্যালেঞ্জ

ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুর ভয়াবহতা- নারীরা জেলখানায়, হোস্টেল, টয়লেটে যৌন নির্যাতন এবং ধর্ষণের ঝুঁকিতে পড়বে

গুরুত্বপূর্ণ - হিজড়া এবং ট্রান্সজেন্ডার সম্পূর্ণ আলাদা। একটা জন্মগত, আরেকটা মানসিক ব্যাপার।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ট্রান্সজেন্ডার নারী (অর্থাৎ জন্মগত পুরুষ) কোন হলে সিট পাবে? ক্যাডেট কলেজ এবং আর্মি ব্যারাকে কেউ ট্রান্সজেন্ডার ঘোষণা দিলে তার স্থান কোথায় হবে? --- এগুলো কিছুদিন আগে পত্রিকার আর্টিকেলের জন্য লিখেছিলাম। কিন্ত এখন দেখছি অজ্ঞতার সুযোগে বাংলাদেশে নারী ট্রান্সজেন্ডারকে মেয়ে হোস্টেলে থাকার ব্যবস্থা করেছে এবং প্রথম আলো এটিকে ফলাও করে সাকসেস স্টোরি হিসেবে ফলাও করে প্রচার করছে!


ব্রিটেনের মিনিস্ট্রি অব জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের তথ্য অনুযায়ী- জেলখানায় ১৭৬ জন ট্রান্সজেন্ডার নারীর (জন্মগত পুরুষ) ৭৬ জন যৌন নির্যাতনমূলক অপরাধে জড়িত হয়। এদের ৩৬ জন ধর্ষণ (rape is defined as penetration with penis) এবং ১০ জন ধর্ষণের প্রচেষ্টার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়।

কেউ উস্কানিমূলক মন্তব্য করবেন না। এতে বিরোধী পক্ষ জিতে যাবে।